
যৌন জীবন
‘কামসূত্র’ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য, যা জানলে আপনি অবাক হবেন!
মহর্ষি বাৎস্যায়ন রচিত 'কামসূত্র' গ্রন্থটি জগৎ বিখ্যাত। কাম বা কামবাসনা সম্পর্কিত বই বলতে আমাদের মনে সাধারণত বাৎস্যায়নের 'কামসূত্র' গ্রন্থের কথাই আসে। প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মিলন সম্পর্কিত যত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে কামসূত্র সবচেয়ে জনপ্রিয়। গ্রন্থের একটি অংশের উপজীব্য বিষয় হল যৌনতা সংক্রান্ত ব্যবহারিক উপদেশ।
সর্বপ্রথমে কামসূত্র বই আকারেই প্রকাশিত হয়েছিল, পরবর্তীকালে এই বইয়ের অনুকরণ করে প্রচুর সিনেমা ও ভিডিয়ো বানানো হয়। যৌন মিলনের এমন কোনও পদ্ধতি নেই যেটা কামসূত্রে বলা বা দেখানো হয়নি। 'কাম' শব্দের অর্থ ইন্দ্রিয়সুখ বা যৌন আনন্দ, অপরদিকে 'সূত্র' শব্দের আক্ষরিক অর্থ সুতো বা যা একাধিক বস্তুকে সূত্রবদ্ধ রাখে। আজ আমরা আপনাদের কামসূত্র সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য জানাব, যা হয়তো আপনি কখনোই শোনেননি।
১) কাম বা কামবাসনা সম্পর্কিত বই বলতে আমরা সাধারণত মহর্ষি বাৎস্যায়ন রচিত 'কামসূত্র' গ্রন্থের কথাই জানি। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, কামশাস্ত্রের প্রকৃত প্রবর্তক বাৎস্যায়ন নন, তিনি হলেন ভগবান শিবের বাহন নন্দী ষাঁড়। শাস্ত্র অনুসারে, তিনিই সর্বপ্রথমে কামশাস্ত্র রচনা করেছিলেন
২) বলা হয়, এটি এক হাজার অধ্যায় নিয়ে গঠিত। বিশ্বাস করা হয় যে, ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর প্রেমের সংলাপ শোনার পরে নন্দী কামশাস্ত্র রচনা করেন।
৩) কামসূত্রে ৬৪টি 'সেক্সুয়াল পজিশন'-এর কথা এবং আট রকমভাবে ভালবাসার কথা বলা হয়েছে।
৪) কামসূত্র গ্রন্থে মাত্র ২০ শতাংশ যৌনতার কথা বলা হয়েছে। বইয়ের বাকি ৮০ ভাগে বলা হয়েছে কী করে ভালো নাগরিক হওয়া যায়। পুরুষ, নারীর সম্পর্ক কী করে ভালো থাকে।
৫) কামসূত্রের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ইংরেজি অনুবাদটি ১৮৮৩ সালে ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশিত হয়। ১৮৮৩ সালে ব্রিটেনে ২৫০ কপি কামসূত্র বই বিক্রি হওয়ার পর তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর, ১৯৬৩ সাল থেকে বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বতর্মানে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত হওয়া বইয়ের তালিকায় একেবারে প্রথমের দিকে আছে 'কামসূত্র'।
৬) ১৯৯৬ সালে কামসূত্রের ওপর তৈরি হওয়া "কামসূত্র - আ টেল অফ লাভ" সিনেমাটিকে প্রথমে ভারতে রিলিজ করা নিয়ে অনেক টালবাহনা করা হয়। পরে, ১৪টা কাটের পর সিনেমাটিকে ভারতে মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
৬) ১৯৯৬ সালে কামসূত্রের ওপর তৈরি হওয়া "কামসূত্র - আ টেল অফ লাভ" সিনেমাটিকে প্রথমে ভারতে রিলিজ করা নিয়ে অনেক টালবাহনা করা হয়। পরে, ১৪টা কাটের পর সিনেমাটিকে ভারতে মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
৭) কামসূত্রতে ১২৫০টি শ্লোক রয়েছে। শ্লোকগুলি ৩৬টি অধ্যায়ে গ্রথিত। সমগ্র গ্রন্থটি ৭টি পর্বে বিন্যস্ত।
৮) কামসূত্রে বলা হয়েছে কামড়ানো ও খিমচানো ভালবাসা বাড়ানোর একটা বড় উপায়। এর জন্য আঙুলের নখ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দাঁত পরিষ্কার রাখার কথাও বলা হয়েছে।
৯) কামসূত্রে ৪০টি বিভিন্ন উপায়ে চুম্বনের কথা বলা হয়েছে। সেই উপায়গুলিকে দশ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১০) কামসূত্রে ঘর সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার টিপসও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ঘরে থুতু ফেলার জন্য আলাদা সুন্দর পাত্র রাখা উচিত, হাতির দাঁতের তারের বাজনা ঝুলিয়ে রাখা উচিত, পরিষ্কার ঘর ও নরম বিছানা এবং অবশ্যই ফুলের পাত্র রাখা উচিত।
১১) যেসব দম্পতি পিঠের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস জাতীয় রোগে ভুগছেন তাদের কামসূত্র পজিশন চেষ্টা না করার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া আছে এই বইতে।
১২) কামসূএ-এর একটি বড় অংশ মানব মনস্তত্ত্ব নিয়েও কথা বলে।
১২) কামসূএ-এর একটি বড় অংশ মানব মনস্তত্ত্ব নিয়েও কথা বলে।
১৩) 'কাম'-এর অর্থ 'বাসনা'। বাসনাশূন্য জীবন অসম্ভব, আর আধ্যাত্ম বাসনাও বাসনাই। সেক্ষেত্রে 'কামসূত্র' আত্মোপলব্ধির কথাই বলে।
১৪) পরস্ত্রীদের সঙ্গে মিলনের জন্য আলাদা একটা অধ্যায় রাখা হয়েছে এই বইতে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে যে, বিবাহিত মহিলাদের সঙ্গে পরপুরুষদের শারীরিক মিলন বা ভালবাসা উচিত নয়।
১৫) কামসূত্রে যৌন উদ্দীপক বা ভায়াগ্রার কথাও বলা হয়েছে।
১৬) দুধের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ, মাখন ও মধু মিশিয়ে খেলে পুরুষদের ভালবাসার জীবন অনেক বেশি রঙিন হয় বলে এই বইতে বলা হয়েছে।
0 Comments: